এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা চার সপ্তাহের সময় আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
০৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে আপিল করেছেন।
এর আগে ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি চেয়ে বাদীপক্ষের করা আবেদনের শুনানির জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য ছিলো চেম্বার আদালতে।
২৯ নভেম্বর চেম্বার আদালতে দিন ধার্যে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ে ওই সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির সঙ্গে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা জড়িত থাকায় আপিলের জন্য সার্টিফিকেট দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষও আপিল করেননি। তাই বাদী এ বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে আবেদনটি করেছেন।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে এ রিট আবেদন দায়ের করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২১ মে রুলের শুনানি শুরু হয়।
গত ১০ মার্চ এ রুলের শুনানি শেষে ০৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ করে দুই বিচারপতির দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ১১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। ০৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ বলে দেওয়া রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের রায় প্রকাশ পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
ইএস/বিএস