বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তদন্ত করে গাজীপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিমকে ১ মার্চ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মফিজুর রহমান।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, ‘টাইম টু ডিক্লেয়ার তুরাগ ডেড’ শীর্ষক শিরোনামে গত বছরের ৬ নভেম্বর ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। ০৯ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তুরাগ নদে মাটি ভরাট ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়াও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদ কার্যক্রমের বিষয়ে ছবিসহ একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে ওই এলাকা থেকে ৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্ত ছবিতে দেখা যায় দখলকরা অনেক স্থাপনা আছে, যা নদীর তীরে জমিতে বিদ্যমান। এ বিষয়ে তদন্তের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আদেশ দেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ।
তিনি বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন-টঙ্গী কামারপাড়া ব্রিজের দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ হয়েছে কী না এবং আর কোনো স্থাপনা আছে কী না সে বিষয়ে তদন্ত করে গাজীপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিম ১ মার্চ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। মূখ্য বিচারিক হাকিম না পারলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের নিচে নয়, এমন কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং টঙ্গী ও তুরাগ থানার ওসিকে তদন্ত কাজে সহায়তা করতে হবে।
পাশাপাশি ঢাকার চারপাশে চার নদীর মামলার জরিপ অনুসারে উচ্ছেদ হয়েছে কিনা তাও তদন্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
ইএস/এসএইচ