বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
তবে ভবিষ্যতে যেকোনো মামলায় সাক্ষীরা যেন আইন অনুসারে শপথ নেন সেটি নিশ্চিত করতে আইন সচিব ও রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
পরে বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে ভবিষ্যতে যেন আইন অনুসারে সকল মামলার সাক্ষীরা শপথ নেন, সেটি নিশ্চিত করতে আইন সচিব ও রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গড এর নামে শপথ করতে হয় (হেল্প মি গড)। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া ৩২ সাক্ষীর ক্ষেত্রে এটা হয়নি। আমাদের আবেদন খারিজ হওয়ায় আপিল বিভাগে যাবো’।
খুরশীদ আলম খান বলেন, ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট সাক্ষ্য নেওয়ার বিষয়ে যে সার্কুলার জারি করেছিলেন, সেটি নিশ্চিত করতে আইন সচিব ও রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের অস্থায়ী আদালতে। মামলাটির ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জামিনে থাকা অন্য দুই আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন চলমান।
৩২ সাক্ষীর সাক্ষ্য বাতিল করে পুনরায় নিতে বিচারিক আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন খালেদা। এ অঅবেদনে দাবি জানানো হয়, সাক্ষ্য নেওয়ার আগে সাক্ষীদের শপথ নিতে হয়, কিন্তু এখানে সেটা করা হয়নি। কিন্তু গত বছরের ০১ ডিসেম্বর সে আবেদন খারিজ হওয়ায় ০৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদনটি করেন তিনি।
এ মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। খালেদা ছাড়াও জামিনে আছেন জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান, হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
২০১০ সালের ০৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন বিচারিক আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর