মোট ১৪ আসামির মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ৯ জন এবং সাক্ষিরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ৫ আসামি অনুপস্থিত থাকায় ফের পেছানো হয় সাক্ষ্য গ্রহণ।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কিশোর কুমার কর বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য থাকলেও সাক্ষিরা না আসায় বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেন বিচারক। আলোচিত এ মামলায় এ যাবৎ ১৭১ জন সাক্ষির মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আব্দুর মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে এ মামলার সম্পূরক চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি সিলেট জোনের এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল।
ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর থেকে কারাগারে ছিলেন আরিফ-গৌছ। দীর্ঘ দুই বছর কারাবাসের পর গত ৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এনইউ/এটি