শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর রোববার (২২ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) তদন্ত প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।
রোববার সেটি আদালতে উপস্থাপন ও রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
ইসলাম ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়ানোর পর গত বছরের ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত লাঞ্ছনার শিকার হন।
এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আদালতের নজরে আনেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশিদ। এরপর আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা সংশ্লিষ্টদের আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা না পাওয়া সংক্রান্ত পুলিশের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর গত বছরের ১০ আগস্ট এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালতের এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অক্টোবর মাসে ঢাকার সিএমএম শেখ হাফিজুর রহমান নারায়ণগঞ্জে তদন্তে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকার সিএমএম আদালতের দুই হাকিম গোলাম নবী ও মাজহারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
ইএস/এএসআর