ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আতাউর রহমান রোববার (২২ জানুয়ারি) জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলার এ রায় দেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ওমর ফারুককে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১২ সালের ০৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের গেটে ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। গাড়িটিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা ও কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ছিলেন। এ কারণে বলা হচ্ছিল, ওই টাকা রেলওয়েতে নিয়োগের জন্য ঘুষ হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয় সুরঞ্জিতকে।
ওই বছরেরই আগস্ট মাসে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে এক কোটি তিন লাখ ৯৭ হাজার টাকা থাকার অভিযোগে রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক রাশেদুর রেজা বাদী হয়ে করা মামলাটির অভিযোগপত্র দেওয়া হয় একই বছরের ২৬ নভেম্বর।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ফারুক তার হিসাব বিবরণীতে ৫০ লাখ ৯৩ হাজার টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য দেন। সেখানে ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে, যা তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
অভিযোগপত্র দাখিলের পরদিন ২৭ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওমর ফারুক তালুকদার।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭/আপডেট ১৮৩০
এমআই/আইএ/এএসআর