৯ জন মুক্তিযোদ্ধার করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জামুকার মহাপরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।
হাসনাত কাইয়ুম জানান, গত ১২ জানুয়ারি গেজেটের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে মহানগর ও জেলায় কমিটি করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। এছাড়া গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরে গত ০৫ জানুয়ারি আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাছাইয়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রফিকুল আলমসহ ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা রিট করেন।
তাদের দাবি, গেজেট প্রকাশের সময় ওই গেজেটকে চূড়ান্ত তালিকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক সে গেজেট বাতিলের ক্ষমতা আইন অনুসারে প্রয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু তা না করে গেজেটভুক্ত সকল মুক্তিযোদ্ধাকে পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষমতা আইন অনুসারে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নেই। এ কারণে অন্য কাউকে দিয়ে কমিটি করার বিধানও প্রণয়ন করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর