দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার মো. সুবাহানের ছেলে মো. মাসুদ, মো. সানাউল্লাহ ও নূরু আলম ময়না এবং মো. সুবাহানের জামাতা ও বরিশালের কোতোয়ালি থানার হরিনাফুলিয়া এলাকার গণি সিকদারের ছেলে আনোয়ার সিকদার।
রায় ঘোষণার সময় গ্রেফতারকৃত নূর আলম ময়নাকে আদালতে হাজির করা হয়।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ মো. ইকবার হোসেনের আদালত শামসুল হক দর্জি হত্যা মামলার এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে রামচন্দ্রপুর এলাকার শামসুল হক দর্জিকে বাড়ি পাশে ডেকে নিয়ে যান আসামি মাসুদ ও সানাউল্লাহ। বাড়ি থেকে বের হতেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন প্রতিবেশী মাসুদ, সানাউল্লাহ, নূরু আলম ময়না ও তাদের ভগ্নিপতি আনোয়ার সিকদার।
শামসুল হকের স্ত্রী হাফেজা বেগমের চিৎকারে আসামিরা পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় শামসুল হককে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন হাফেজা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ অক্টোবর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।
১৩ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. হাফিজ উল্লা দর্জি এবং আসামিপক্ষে মো. সুলতান উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
আরএস/ওএইচ/এএসআর