এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্দেশনা দিয়ে এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে সংস্কৃতি সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, ঝিনাইদহের মহেশপুরের গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশে ভবনটি কি অবস্থায় আছে এবং ভবন সংস্কারে কী কী প্রয়োজন সে বিষয়ে তদন্ত করে ২৩ মার্চের মধ্যে লিখিতভাবে প্রতিবেদন দিতে হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব এবং ঝিনাইদহের গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
গত ১৯ জানুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ভবনটির সংস্কার ও সংরক্ষণ চেয়ে রোববার (২২ জানুয়ারি) হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন মানবাধিকার সংগঠন ‘সমাজের প্রতি যুব’র উদ্যোগ’র সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ।
পরে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধে তার আত্মদানের ইতিহাস সংরক্ষণে ১৯৮১ সালে তিন শতাংশ জমিতে এ ভবনটি গড়ে তোলা হয়। কিন্তু অযত্ন-অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে এর সব কিছুই বিনষ্ট হতে যাচ্ছে। বিনষ্ট হওয়া থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য, স্মৃতি রক্ষার স্বার্থেই হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর