সোমবার (২৩ জানুয়ারি) তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক আইনের ৪ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আরাফাত সানির মা নার্গিস আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম বাদিনীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিদের আগামী ৫ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
বাদিনীর আইনজীবী নাসিম জাহান রুবি মামলা ও সমন জারির বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
নাসরিন সুলতানারই দায়ের করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় সানি বর্তমানে একদিনের পুলিশি রিমান্ডে আছেন। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
বাদিনীর আইনজীবী রুবি বাংলানিউজকে বলেন, যৌতুক চাওয়ার অপরাধে নাসরিন মামলা করলেও মূলত তিনি সানির সঙ্গে সংসার করতে চান।
নাসরিন তার মামলায় অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ০৪ ডিসেম্বর পাঁচ লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর নাসনির তার বোনের বাড়িতে সানিকে নিয়ে সংসার শুরু করেন।
বিয়ের ছয় মাস পর থেকেই সানি ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নাসরিনের ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জানুয়ারি সানি বাদিনীকে চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেন যে, ২০ লাখ টাকা যৌতুক ছাড়া তাকে গ্রহণ করা হবে না। সানির মা নার্গিস আক্তারও জানিয়ে দেন, যৌতুকের টাকা না পেলে তাকে পূত্রবধূ হিসাবে গ্রহণ করা হবে না।
নাসরিনের করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় রোববার (২২ জানুয়ারি) ভোরে সাভারের আমিনবাজার থেকে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, গত ০৫ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন নাসরিন সুলতানা। মামলার প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুপুরে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াহিয়া। শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিএমএম প্রণব কুমার হুইয়ের আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এমআই/বিএস/এএসআর