আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন প্রথমে তারা কুয়াকাটার পর্যটন হলি হোমসে যান। সেখানে প্রাইভেটকারে করে সমুদ্র সৈকত ঘুরতে যান।
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল ১০ মাস বয়সী পুত্রসন্তান। পরে এই ঘটনাকে ছিনতায়ের ঘটনা সাজিয়ে পুলিশের কাছে বর্ণনা দেন জাহিদ। কিন্তু তদন্তে পূর্বপরিকল্পনার অনুযায়ী স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। আর এই হত্যাকাণ্ডে জাহিদের সঙ্গে শাহীন ও মিজান অংশ নেন। এ ঘটনার পরদিনই কলাপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই রায়হান গফুর।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। ২০১২ সালের ৮ জুলাই নিম্ন আদালতের ফাঁসির রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির আপিল খারিজ করে দিয়ে মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও আসামি পক্ষে খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
ইএস/এসএইচ