এছাড়া স্টোন ক্রাশিং মেশিন স্থাপন নীতিমালা-২০০৬ এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায়ে স্টোন ক্রাশিং মেশিন স্থাপন নীতিমালা-২০০৬ অনুসারে অনুমোদিত পাথর ভাঙার মেশিনগুলোকে তিন মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট জোনে স্থানান্তরিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অননুমোদিত পাথর ভাঙার মেশিন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্যানুয়ায়ী সিলেট জেলার অন্তর্গত সদর, কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬০৬টি স্টোন ক্র্যাশার মেশিন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো। যার মধ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্র রয়েছে ২১৩টির এবং ছাড়পত্রবিহীন মেশিনের সংখ্যা ৩৯৩টি। ক্র্যাশার মেশিনের শব্দ ও ধূলার কারণে এলাকাবাসী চর্মরোগে, সর্দি, মাথাধরা, কানে কম শোনাসহ নানা মারাত্মক পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছিলো। বেশ কয়েকটি স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
আদালতে বেলা’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫,২০১৭
ইএস/বিএস