মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইউম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট আকবর আলী প্রামাণিকসহ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পাঁচজন নাগরিক হাইকোর্টে এই ব্যাপারে রিট করেছিলেন এই আদেশের পর রাজশাহী সিটি করপোরেশন জনসাধারণের কাছ থেকে আর কোনো ট্যাক্স নিতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
এর আগে রাজশাহী সিটি করপোরেশন অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয় গত ১ নভেম্বর। ওই দিন একই বেঞ্চ দুই সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত হোল্ডিং টাক্স বৃদ্ধি কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আবেদনকারীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম এই রিট (পিটিশন নং-১৩৫২৯/১৬) পিটিশন দাখিল করেন। আবেদনকারীরা হলেন- অ্যাডভোকেট আলী আকবর প্রামাণিক, অ্যাডভোকেট শামীম আরা বিল্লাহ, রাজশাহী মেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, আতিউর রহমান এবং ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের মৃধা। তারা প্রত্যেকেই সিটি করপোরেশনের নাগরিক।
অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম আরও বলেন, মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন ট্যাক্সসেস রুল ১৯৮৬-এর ২০ ও ২১ ধারা মতে জনস্বার্থে রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়েছিল।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বার সমিতির এক সাধারণ সভায় জনস্বার্থে সিটি করপোরেশনের অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিলের সিদ্ধান্ত হয়। এর জন্য অ্যাডভোকেট আলী আকবর প্রামাণিক এবং অ্যাডভোকেট এনামুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের হোল্ডিংসহ অন্যান্য ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছে নাগরিক অধিকার সংগ্রাম সংরক্ষণ পরিষদ।
গত ১১ ডিসেম্বর সংগঠনটির ডাকে মহানগরীতে হরতালও পালিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
এসএস/বিএস