প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, দ্য ডাওরি প্রহিবিশন অর্ডিন্যান্স-১৯৮২ এবং দ্য ডাওরি প্রহিবিশন অ্যাক্ট-১৯৮০ এর সঙ্গে তিনটি প্রহিবিশন এবং তিনটি সংশোধনী মিলে একটি আইন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো এক পক্ষের (বর-কনে) পিতামাতা বা ব্যক্তি অন্য পক্ষের কাছে কোনো কিছু দাবি করলে এতদিন তা যৌতুক হিসেবে গণ্য হতো।
নতুন আইনে যৌতুকের সংজ্ঞা বদলে বর বা বরের পিতা-মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহে জড়িত বর পক্ষের অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো কিছু দাবি করাকে বোঝানো হয়েছে।
নতুন ধারায় যৌতুকের জন্য আত্মহত্যায় প্ররোচিত বা অঙ্গহানি করলে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যৌতুকের জন্য আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং জরিমানা করা হবে (জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করা নাই)।
আর যৌতুকের জন্য মারাত্মক জখম করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ১২ বছর সশ্রম করাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন (জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করা নাই)।
তিনি বলেন, নতুন আইনে বর পক্ষকে আসামিভুক্ত করা হয়েছে। বর পক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। কারণ বর পক্ষই যৌতুক নেয়, কনে পক্ষ যৌতুক নিয়েছে- সে উদাহরণ নেই।
যৌতুক নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ বা মামলা করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য এক বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
এছাড়া যৌতুকের জন্য সাধারণ জখম করলে অনধিক তিন বছর জেল (কমপক্ষে এক বছর) এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হবে। ‘ভিকটিম’র (ভুক্তভোগী) ক্ষতি বিবেচনায় অর্থদণ্ডসহ আমৃত্যু ভরণপোষণ দেওয়ার রায়ও আদালত দিতে পারবে।
যৌতুক প্রদান বা গ্রহণে সহযোগিতা করলে ৫ বছর জেল (কমপক্ষে এক বছর), ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগের আইনে এই অপরাধে ৫ বছর জেলের কথা বলা থাকলেও জরিমানার পরিমাণ নির্দিষ্ট করা ছিলো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭ আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি