মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামি তৈয়ব আলম, আনোয়ার হোসেন, আহমদ শরীফ ও শাহীন ওরফে গড্ডুর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে বিল্লাল হোসেন ওরফে সুমনকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এস এম মোক্তার কবির খান।
ঢাকার মুক্তাঙ্গনের মাইক্রোবাস ও কার মালিক সমিতির প্রাইভেটকার চালক জাবেদ হোসেন ২০০০ সালের ২৭ মে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পাঁচজনকে নিয়ে তিনি লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে নোয়াখালীর চাটখিল থানা পুলিশ প্রাইভেটকারসহ যাত্রীদের আটক করে। আটককৃতরা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরে জাবেদের ভাই মকবুল হোসেন প্রাইভেটকারটি চিহ্নিত করে ০১ জুন মামলা করেন।
এ ঘটনায় চাটখিল পুলিশের হাতে আটককৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, জাভেদ হোসেনকে রামগঞ্জ থানার চণ্ডিপুর-ওয়াপদার সংযোগ খালপাড়ে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়।
ওই হত্যা মামলায় ২০১১ সালের ২২ মে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন লক্ষ্মীপুরের জেলা জজ আদালত।
পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের জেল আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
ইএস/এএসআর