রুলে ওই পাঁচ উপজেলার কমিটি কেন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই ৫ উপজেলা হলো, খুলনার কয়রা, সাতক্ষীরার আশাশুনি, ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে আইনজীবীরা জানান, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে খুলনার কয়রা উপজেলা কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান সংশ্লিষ্ট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি রূপসা উপজেলার তালিকাভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা। কমিটির আরেক সদস্য আতিয়ার রহমান মোড়ল ডুমুরুয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত।
এসব অভিযোগে কয়রা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান সানা হাইকোর্টে রিট করেন।
দামুড়হুদা উপজেলা কমিটির সভাপতি আবু হোসেন সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা। এমনকি ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ১১ বছর ১ মাস। এসব অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল উদ্দিন বিশ্বাস ওই কমিটি বাতিল চেয়ে রিট করেন।
আশাশুনি উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. নুরুল হুদা, সদস্য আব্দুল করিম, মো. আব্দুল হান্নান এবং হায়দার আলীর বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে আব্দুল হান্নানের মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও বন্ধ রয়েছে। তাই ওই কমিটি বাতিল চেয়ে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি সরদার।
কোর্টচাঁদপুর উপজেলা কমিটির সদস্য শামসুল আলম এবং গোলাম ফারুক হরিণাকুণ্ড উপজেলার তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। এ অভিযোগ করে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চুন্নু।
এছাড়া রামগঞ্জ উপজেলায় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের নাম দুই বার এসেছে। তাই ওই কমিটি বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা এসআইএম নুরুন্নবী খান বীরবিক্রম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ