সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রিটটি দায়ের করেন।
তিনি বলেন, ‘বাস থেকে নেমেই রক্তাক্ত আফসানা’ শীর্ষক শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিনে গত ০৭ জানুয়ারি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে বলেও তিনি জানান।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি এবং ঢাকা দক্ষিণের মেয়রসহ মোট ১২জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ৬ থেকে ৭টি সিঁড়ি আছে। এছাড়াও রয়েছে বাসস্টেশন। এসব স্টেশনে বাস ও লেগুনা থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৩-৪ মাসে ফ্লাইওভারের ওপরে ১০ জনের বেশি লোক মারা গেছেন। বাসস্টেশন থাকার কারণে প্রায়ই যানজট থাকে। বাংলাদেশের অন্যান্য ফ্লাইওভারে সিঁড়ি ও বাসস্টেশন নেই।
তিনি জানান, বাসস্টেশন বন্ধ ও সিঁড়ি অপসারণ চেয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে আইনি নোটিশ দিয়েছি। নোটিশের যথাযথ জবাব না পাওয়ায় উচ্চ আদালতে প্রতিকার চেয়ে জনস্বার্থে রিটটি দায়ে করেছি।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে গতকাল সকালে দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় আফসানা আক্তার (২৫) নামে এক তরুণী মারাত্মক আহত হয়েছেন। মাথায় আঘাত পাওয়া ওই তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফ্লাইওভারের সায়েদাবাদ প্রান্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত তরুণীর সঙ্গে থাকা তার ভাই দিদার হোসেন জানান, ফ্লাইওভারের ওপর বাস থেকে নেমে অন্য পাশে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
ফ্লাইওভারের নিরাপত্তারক্ষী মোহাম্মদ মিলন জানান, মেয়েটিকে একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। সকালে একই সময়ে হানিফ ফ্লাইওভারের নিমতলী নামার পথে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। একটি মাইক্রোবাস একটি প্রাইভেটকারকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী জামাল খান জানান, উড়ালসেতুর ওপর এ রকম দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ