আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি ) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যের্তিময় বড়ুয়া ও ফারুক হোসেন।
পরে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, দুই কর্মকর্তাকে তলব করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি, এআইজি (শৃঙ্খলা), পটুয়াখালীর এসপি, সার্কেল এএসপি ও বাউফল থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া এ বিষয়ে একটি তদন্ত সেল গঠন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ফারুক হোসেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠে ‘বাউফলে ওসির রুমে নির্যাতন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘থানা হাজত থেকে এক আসামিকে ওসির রুমে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তার নাম হাফিজুর রহমান বিজয়। বাবার নাম শামসুল হক খান। কনকদিয়া ইউনিয়নের কলতা গ্রামে তার বাড়ি’।
‘বিজয়ের মা জোসনা বেগম অভিযোগ করেন, রবিবার সন্ধ্যার দিকে একটি মামলায় তার ছেলে হাফিজুর রহমান বিজয়কে বাউফল থানার এসআই ফেরদৌস গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং ওই দিন রাত ১২টার পর তাকে থানা হাজত থেকে বের করে ওসির রুমে এনে শারীরিক নির্যাতন করেন। রাত দেড়টা পর্যন্ত কয়েক দফা তার ছেলের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। লাঠি দিয়ে তার ছেলেকে পেটানো হয়েছে’।
‘বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার জানান, গ্রেফতারকৃত বিজয় তার ছেলের বন্ধু। তিনি সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নির্যাতনের বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। ওসি তাকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি থানায় ছিলেন না। পরে এসে ঘটনাটি শুনেছেন। সার্কেল এসপি নাকি তাকে ২-৩টি বাড়ি দিয়েছেন’।
‘এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম আসামিকে থানা হাজত থেকে আমার রুমে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, তাকে নির্যাতন করেননি। তবে এ সময় আমি থানায় ছিলাম না’।
পরে এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন দায়ের করেন জোসনা বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
ইএস/এএসআর