বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাদেরকে আগামী ০৯ মার্চ ফের হাজির হতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘লক্ষ্মীপুরে সালিশে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরে আদালত ইউপি চেয়ারম্যান ও ওসিকে ২২ ফেব্রুয়ারি তলব করে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন। এর মধ্যে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যে মামলায় জামিনও নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
বুধবার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়াও ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চান ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যান।
আদালতে শুনানিতে অংশ নেন এস এম রেজাউল করিম। ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রব চৌধুরী এবং ওসির পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল সোহেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।
পরে আইনজীবীরা জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান দাফতরিক কাজ করেছেন কি-না, সে বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লক্ষীপুরের বিচারিক আদালত থেকে ওই চেয়ারম্যানের নেওয়া জামিনের নথিও তলব করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ফের ০৯ মার্চ হাজির হতে বলেছেন।
গণমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সালিশে এক কিশোরীসহ দু’জনকে পিটিয়েছেন চর মার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী। মারধরের এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউছুফ চর মার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৩১ ডিসেম্বর একটি সালিশে মারধরের এ ঘটনা ঘটেছে। মারধরের শিকার ওই দু’জন উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা সম্পর্কে শ্যালিকা-দুলাভাই’।
‘ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সালিশের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী ও আরেকজন লাঠি নিয়ে এক ব্যক্তিকে মারধর করছেন। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে লাথি মারেন তিনি। এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক কিশোরীকেও একইভাবে মারধর করেন চেয়ারম্যান’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
ইএস/এএসআর