হাইকোর্টে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনার পর বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
আদালতে জেলা প্রশাসকসহ ৩ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শহিদুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান ও ব্যারিস্টার উপমা বিশ্বাস।
পরে বদরুদোজ্জা বাবু জানান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মজিবুর রহমান সরকার নামের এক ব্যক্তি ৩টি পুকুর ভোগ-দখল করে আসছিলেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর জেলা প্রশাসক পুকুরগুলো ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
এ বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মজিবুর রহমান সরকার।
আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইজারা না দিতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরপরও ৩১ জানুয়ারি ইজারা দেওয়ার জন্য ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
তখন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার মামলা করেন মজিবুর রহমান সরকার।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুন নাহার সিদ্দীকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. শামীম আলম ও তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিল্লুর রহমানকে তলব করে রুল জারি করেন।
বৃহস্পতিবার আদালতের আদেশ অনুসারে জেলা প্রশাসকসহ তিন কর্মকর্তা স্বশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে ব্যাখ্যা দাখিল করেন।
পরে হাইকোর্ট তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। আদালত একইসঙ্গে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মজিবুর রহমান সরকারকে ওই পুকুরগুলো ভোগ-দখলে বাধা না দিতে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর