বুধবার (১২ জুলাই) এ রিট আবেদন করেন তিনি।
সংবিধানের ৭৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পালের পদ-প্রতিষ্ঠার জন্য বিধান করিতে পারিবেন।
(৩) ন্যায়পাল তাঁহার দায়িত্বপালন সম্পর্কে বাৎসরিক রিপোর্ট প্রণয়ন করিবেন এবং অনুরূপ রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপিত হইবে।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধান অনুসারে ন্যায়পাল নিয়োগে ১৯৮০ সালে আইন করা হয়েছে। কিন্তু সে আইন কার্যকর করা হয়নি।
তিনি বলেন, আইনের ৬ ধারা অনুসারে ন্যায়পালের কাজ হলো-মন্ত্রণালয়সহ সকল সরকারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত ও বিচার করা। ৩ ধারা মতে পার্লামেন্টের সুপারিশ অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে ন্যায়পাল নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৪৬ বছরেও ন্যায়পাল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
‘ন্যায়পাল নিয়োগ দিলে মন্ত্রী-সচিব সবার দুর্নীতির পথ বন্ধ হয়ে যেতো,’ যোগ করেন ইউনুস আলী আকন্দ।
রিট আবেদনে ন্যায়পাল নিয়োগে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং আইন অনুসারে কেন ন্যায়পাল নিয়োগ দেওয়া হবে না সে মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
আইন সচিব, স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুলাই ১২,২০১৭
ইএস/এমএ