আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি নিয়ে রোববার (১৬ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল হক ও সিনিয়র সহকারী সচিব মাকসুদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার এ অভিযোগটি দায়ের করেন।
আদালতে আইনজীবী হিসেবে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না- তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এইচআরপিবি’র করা রিটের রায়ে গত ০৩ এপ্রিল হাইকোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির ছাড়পত্র ছাড়া ২৮টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড, অ্যান্টিক্যান্সার ও হরমোন বিষয়ক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ওই ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টেকনো ড্রাগস্ লিমিটেড হাইকোর্টের রায়ের পর আপিল বিভাগে আবেদন করে। এ আবেদনের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কয়েকটি রিপোর্ট ও প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতর গত ১৮ জুন চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া টেকনো ড্রাগের পক্ষে মন্ত্রণালয়ে গত ০৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদন দেখার পর এইচআরপিবির পক্ষে ১০ জুলাই স্বাস্থ্য সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বাতিল না করলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বাতিল না করায় ওই দু’জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করা হয় বলে জানান মনজিল মোরসেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫,২০১৭
ইএস/এএসআর