তিনি বলেছেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বসে গেজেটের খসড়া তৈরি করবো। এরপর আগামী সপ্তাহে প্রস্তুত করে রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করবো বলে আশা করছি’।
রোববার (১৬ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত ০২ জুলাই এক অনুষ্ঠান শেষে আগামী ১৫ জুলাইয়ের আগেই প্রকাশিত হবে বলে সাংবাদিকদের কাছে আশা প্রকাশ করেছিলেন আইনমন্ত্রী।
ওইদিনই সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ গেজেট প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষের করা দুই সপ্তাহের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, ‘এটিই লাস্ট চান্স’।
সেদিন আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘এটি বিচারকদের শৃঙ্খলার ওপর প্রভাব রাখবে। অত্যন্ত খুঁটি নাটি বিষয়গুলো দেখে এটা করা উচিত। এটির মধ্যে এমন কিছু না থাকে, যেন পরে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এটি অত্যন্ত সুক্ষভাবে দেখা হচ্ছে। আমি আশা করি, ১৫ জুলাইয়ের আগেই গেজেট হয়ে যাবে’।
১৯৯৯ সালের ০২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিলো।
আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ০৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।
এর পরই সুপ্রিম কোর্ট খসড়া বিধিমালা সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
গত বছরের ০৮ ডিসেম্বর অবশ্য নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।
তবে সর্বোচ্চ আদালত তলব করলে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব গেজেট প্রকাশে ফের সময় চেয়ে নেন। এরপর থেকেও বেশ কয়েক দফা আবেদন জানিয়ে সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর