ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন নিয়ে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন নিয়ে রুল

ঢাকা: মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন-১৯৯৯ এর তিনটি (২গ, ৩ ও ৬) ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এ রুল জারি করেন।

এছাড়াও ওই আইনের অধীনে ১৮ বছরেও বিধি প্রণয়ন না করায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

 

দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ব্যারিস্টার রেশাদ ইমাম, ব্যারিস্টার আরেফিন আশরাফ, ব্যারিস্টার জারিফ মোহাম্মদ জুবায়ের, ব্যারিস্টার তাসনিম ফেরদৌস ও ব্যারিস্টার নারিদা নাবিন খান।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ফাতেমা জোহরা নামে এক ব্যক্তি।  

আইনজীবীরা জানান, ফাতেমা জোহরা ২০১৫ সালে তার মেয়ে ফাহমিদাকে একটি কিডনি দেন। এরপরও মেয়ের কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। বর্তমানে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে, যা ব্যয়বহুল। কিন্তু আইনগত বাধার কারণে মেয়েকে দাতার কাছ থেকে কিডনি দিতে পারছেন না তিনি। এ অবস্থায় তিনি রিট আবেদন করেন।  
 
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন-১৯৯৯-এর ২গ ধারায় দাতার সংজ্ঞা দেওয়া রয়েছে। সংজ্ঞায় দাতা হিসেবে নিকটাত্মীয়দের কথা বলা আছে। আর নিকটাত্মীয় বলতে বাবা-মা, ভাই-বোন, পুত্র-কন্যা, চাচা, ফুফু, মামা, খালা ও স্বামী-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। কিন্তু ভারতে এ বিষয়ক আইনে নিকটাত্মীয়ের সংজ্ঞায় ওই ক’জন ছাড়াও নানা-নানি, দাদা-দাদি, খালাতো, মামাতো, চাচাতো ভাই-বোনের কথা বলা আছে।

এছাড়া ভারতের আইনে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিকটাত্মীয় ছাড়াও অন্যরা দাতা হতে পারবেন। এক্ষেত্রে ওই আইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে কারা বিশেষ পরিস্থিতিতে দাতা হতে পারবে।  

তিনি বলেন, আমাদের আইনে দাতাকে ১৮ বছর থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত বয়সের ব্যক্তি হতে হবে। মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র নিতে হবে। আইনের এ বাধ্যবাধকতার কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া ১৯৯৯ সালের আইনে এ বিষয়ে বিধি করার কথা বলা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোনো বিধি করা হয়নি। এসব কারণে রিট আবেদন করা হয়। আদালত রুল জারি করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।