ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিচারপতির বিষয়ে দুদকে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি নিয়ে রুল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৭
বিচারপতির বিষয়ে দুদকে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি নিয়ে রুল

ঢাকা: ‘আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন হবে না’, দুদকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের এমন চিঠি কেন আইনগত কর্তৃত্ব ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (০৯ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও সহিদুল করিমের হাইকোর্ট এই রুল জারি করেন। দশদিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, দুদক চেয়ারম্যান, আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার এবং বিচারপতি জয়নুলআবেদীনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বদিউজ্জামান তফাদার সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রর্তীর স্বাক্ষরিত দুদককে দেওয়া গত ২৮ মার্চে পাঠানো ওই চিঠিটি নজরে আনলে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আদালতে এ বিষয়ে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও মো. বদিউজ্জামান তফাদার।
একইসঙ্গে রুল শুনানির জন্য অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, এ এম আমিন উদ্দিন ও প্রবীর নিয়োগীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৯ অক্টোবর আদালত শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

দুদকে জয়নুল আবেদীনের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর সুষ্ঠু যাচাই ও অনুসন্ধানের কথা উল্লেখ করে তার চাকরির (বিচারপতি হিসেবে) মেয়াদ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র (যোগদানপত্র, অবসর গ্রহণের তারিখ সংবলিত কাগজপত্র) ও চাকরি সূত্রে বিভিন্ন (বেতন, ভাতা, অবসর সুবিধা ইত্যাদি) খাতে গৃহীত অর্থের বিবরণী (অর্থ বছর হিসেবে) চেয়ে চলতি বছরের ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল বরাবর চিঠি দেয় দুদক।
জবাবে ২৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট দুদককে একটি চিঠি পাঠায়।  

সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘উপরক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বিচারপতি জয়নুল আবেদীন দীর্ঘকাল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালীন সময় তিনি অনেক মামলার রায় দেন। অনেক ফৌজদারী মামলায় তার দেওয়া রায়ে অনেক আসামির ফাঁসিও কার্যকর করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি দ্বারা ঘোষিত রায় সবার ওপর বাধ্যকর। এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তার ঘোষিত রায়গুলো প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জনমনে বিভ্রান্তির উদ্রেক ঘটবে। ’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বর্ণিত অবস্থায়, সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীন-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ সমীচীন হবে না মর্মে সুপ্রিম কোর্ট মনে করে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭/আপডেট ১৬৩০ ঘণ্টা
ইএস/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।