ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

তিন যুদ্ধাপরাধীর আপিলের শুনানি ২১ নভেম্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
তিন যুদ্ধাপরাধীর আপিলের শুনানি ২১ নভেম্বর এটিএম আজহার, কায়সার ও আবদুস সুবহান

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহার, জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ও জামায়াত নেতা আবদুস সুবহানের আপিল শুনানির জন্য ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আসামি পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ শুনানিতে উপস্থিতি ছিলেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

সর্বশেষ গত বছরের ৩০ আগস্ট জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এরপর আর কোনো মামলার শুনানি হয়নি আপিল বিভাগে।     
 
এক বছর পর ১৩ আগস্টের আপিল বিভাগের কার্য তালিকায় ওঠে আজহার এবং সৈয়দ কায়সারের আপিল মামলা। তিনদিন পর ওঠে সুবহানের আপিল মামলা।
 
সুবহান
২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাবনা জেলায় শান্তি কমিটির নেতা সুবহানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ওই বছরের ১৮ মার্চ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সুবহানের আইনজীবীরা।
 
৮৯ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ১১৮২ পৃষ্ঠার আপিল আবেদনে ৯২টি যুক্তি দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে সুবহানের খালাসের আরজি জানানো হয়েছে।
 
আজহার
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
 
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন এ টি এম আজহার। ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২ হাজার ৩৪০ পৃষ্ঠার আপিলে ১১৩ যুক্তিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফাঁসির রায় বাতিল ও খালাস চেয়েছেন তিনি।
 
কায়সার
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিজের নামে ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনকারী হবিগঞ্জ মহকুমার রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে সর্বোচ্চ সাজাসহ ২২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
 
পরের বছর ১৯ জানুয়ারি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফাঁসির সাজা বাতিল ও বেকসুর খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল করেন কায়সার। ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পক্ষে মোট ৫৬টি যুক্তি দেখিয়েছেন তিনি।
 
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর প্রথম রায় আসে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি ফরিদপুরের পলাতক রাজাকার আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে। এরপর সর্বশেষ রায় হয় চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের মোসলেম প্রধানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে।
 
২৮ মামলার মধ্যে যে ছয় মামলায় আসামিরা আপিল করেননি সেগুলো হলো, বাচ্চু রাজাকার, আশরাফ-মঈনুদ্দিন, খোকন রাজাকার, ইদ্রিস আলী সরদার, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার ও হাছান আলীর মামলা।
 
তবে দণ্ড বাড়াতে পলাতক জব্বারের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
 
আপিলের পর নিষ্পত্তি হয়েছে, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা, গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী ও বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী এবং এম এ আলীমের।
 
এর মধ্যে গোলাম আযম ও আলীম ছাড়া ছাড়া বাকিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আপিল শুনানিকালে এ দুইজন মারা যাওয়ায় তাদের আপিল সমাপ্ত করা হয়।
 
এছাড়া ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়ত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলে আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের রিভিউ আবেদনও ইতোমধ্যে খারিজ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।