ওই ব্যবসায়ীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আগামী ৫ নভেম্বর হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শেখ মেসবাহ উদ্দিনকে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. উজ্জল হোসেন। রিট আবেদনটি দায়ের করেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা এলাকার কাশেম গাজীর ছেলে আব্দুস সামাদ গাজী।
উজ্জল হোসেন বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারা মোতাবেক গত ২৩ আগস্ট সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আমার মক্কেলকে একটি নোটিশ দেন। ওই নোটিশে বলা হয়, আপনি বিবাদী। আপনাকে নোটিশ প্রদান করা যাইতেছে যে, বাদী কতৃর্ক আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। বিধায় ২৯ তারিখে নিম্ন সাক্ষরকারীর অফিসে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইলো।
নোটিশে বাদীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সাতক্ষীরার পলাশপোল এলাকার আব্দুল মোকাদ্দেস খান চৌধুরী। (মিন্টু চৌধুরী)।
আইনজীবীর দাবি, ‘নিয়মিত মামলা হলে বা মামলার সাক্ষী হলে পুলিশ তলব করতে পারে। কিন্তু এখানো কোনো মামলা হয়নি কিংবা সামাদ গাজী সাক্ষীও না। তাই তাকে হাজির হতে বলবেন কেন?’
এ রিটের শুনানি নিয়ে কোনো মামলা ছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারা মোতাবেক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, খুলনার বিভাগীয় সিআইডির পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরার সিআইডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পুলিশ পরিদর্শক শেখ মেসবাহ উদ্দিন এবং মিন্টু চৌধুরীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও ওই নোটিশ মোতাবেক তদন্ত কার্যযক্রমের ওপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
ইএস/জেডএম