রিন্টু পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বিত্রা গ্রামের এনায়েত হোসেনের ছেলে। নিহত প্রিয়াংকা রাজধানীর বড় মগবাজার এলাকার ৫৩৬/১, পেয়ারাবাগের সুলতান ফারুকের মেয়ে ও ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরউল্লাহ।
এ মামলার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী ছিলেন না এবং আসামি দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আছেন। এসব বিবেচনায় হাইকোর্ট সর্বোচ্চ সাজা থেকে কমিয়ে রিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ড. মো. বশিরউল্লাহ।
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রিয়াংকাকে হত্যার দায়ে মামলাটির একমাত্র আসামি রিন্টুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন।
পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রিন্টু।
২০০৭ সালের ১৮ জুলাই নিজ কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় প্রিয়াংকার মরদেহ পাওয়া যায়। প্রিয়াংকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে ঘটনার কিছুদিন আগে তার বাবা রিন্টুকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলেন।
মামা জাহিদুল ইসলাম রিন্টু শ্বাসরোধে প্রিয়াংকাকে হত্যা করেছেন- এমন অভিযোগে নিহতের বাবা সুলতান ফারুক রমনা থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্ত করে সিআইডি’র পরিদর্শক মাগফুরুল ওয়াদুদ রিন্টুর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৭ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর