ওই পাঁচ প্রার্থীর করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, রোববারের (২৯ অক্টোবর) রায়ে ৫ প্রার্থীকে রায় পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ৩৪তম বিসিএসে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বিসিএস ক্যাডার সার্ভিস এবং অন্যান্য ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা সংরক্ষণ’ শীর্ষক আদেশের ‘খ’ অংশকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
ফলে এখন থেকে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিস এবং অন্যান্য ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতেই হবে বলেও জানান শফিকুল ইসলাম।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশের ‘খ’ অংশে বলা হয়েছে, ‘বিসিএস ক্যাডারসহ সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাগুলোর মধ্যে যে কোটায় পর্যাপ্ত সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাবে না, সে কোটা থেকে এক শতাংশ যোগ্য প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে’।
৩৪তম বিসিএসের দুই হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তবে দেখা যায়, এতে মাত্র তিনজন প্রতিবন্ধীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সে কারণে প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত ওই এক শতাংশ কোটা পূরণ না হওয়ায় নন ক্যাডার তালিকায় থাকা পাঁচ প্রতিবন্ধী রিট আবেদনটি করেন।
ওই রিটের পর ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার রায় দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
ইএস/এএসআর