আদালতের আদেশে গণপূর্ত সচিবসহ ৫ জন মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) হাজির হওয়ার পর হাইকোর্ট এমন কথা বলেছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান।
রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরি ভবন ভাঙার বিষয়ে জারি করা রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রোববার (০৬ নভেম্বর) গণপূর্ত সচিবসহ ৫ জনকে হাইকোর্টে হাজির থাকতে আদেশ দেওয়া হয়।
সচিব ছাড়াও অন্যরা হলেন- ওই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট কাজের প্রকল্প পরিচালক এবং ল্যাবরেটরি ভবন ভাঙার ঠিকাদার।
‘ভেঙে ফেলা হচ্ছে কৃষি গবেষণার প্রথম ভবন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর আরবান স্টাডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী তৈমুর ইসলাম এ বিষয়ে এক রিট আবেদন করেন।
ওই রিট আবেদনের পর হাইকোর্ট ১ নভেম্বর ল্যাবরেটরি ভবনসহ খামাড়বাড়ি ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা ঐতিহ্যবাহী সব ভবন ভাঙার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন এবং রুল জারি করেন। রুলে ল্যাবরেটরি ভবনটি ভাঙা বা ধ্বংস করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, ভাঙা ভবনটি পুনর্নির্মাণ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ঐতিহ্য বহনকারী ভবনের তালিকা প্রণয়ন করে তা সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
ইএস/জেডএস