বাদীর অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৩ ধারায় মামলাটি খারিজ করে দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার জাহিদুল হাসান ও সুবিদ আলী ভূঁইয়ার আইনজীবী সাহানা ফেরদৌসী মামলা খারিজের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
২০১৬ সালের ২২ আগস্ট কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার যুবলীগের নেতা জিলানী সরকার ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
ওইদিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যপদ শিকদার শুনানি শেষে শেরে বাংলা নগর থানাকে অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট সাহানা ফেরদৌসী জানান, বাদীকে তার ঠিকানায় না পেয়ে ও সাক্ষীদের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করতে না পারায় শেরে বাংলা নগর থানা সুবিদ আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি-মর্মে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
‘বাদী জিলানী সরকার ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দিলে আদালত ঘটনাটি তদন্তের ভার দেন ডিবি পুলিশের ওপর। কিন্তু ডিবি পুলিশও একই ধরনের প্রতিবেদন দেয় আদালতে। ’
তিনি বলেন, বুধবার ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানির সময় মামলার বাদী জিলানী সরকার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেও নারাজি দেওয়ার জন্য আদালতে সময়ের আবেদন জানান তার আইনজীবী। কিন্তু বিচারক তা নাকচ করে দেন।
২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে সুবিদ আলী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।
পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে সুবিদ আলী বলেন, তিনি জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলেছেন কেউ এমন প্রমাণ করতে পারলে তিনি দল ও সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় সুবিদ আলী ভূঁইয়া সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ছিলেন। চাকরি শেষে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে না পাননি। পরে ২০০১ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান।
এরপর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুবিদ আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এমআই/এমএ