ফলে এ মামলার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আমাদের করা আবেদন মঞ্জুর করেননি আপিল বিভাগ। আদালত হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি করতে বলেছেন। ফলে আপাতত মামলাটি স্থগিত থাকবে।
মামলার প্রধান আসামি লে. কর্নেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী মজুমদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ২৪ অক্টোবর মামলাটির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
মামলাটি চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূরে আলমের আদালতে বিচারাধীন।
চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর আসামি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকুরিচ্যুত) শেখ মাহমুদুল হাসানের বাতিলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে এর কার্যক্রম স্থগিত ছিল। চলতি বছরের ১৭ আগস্ট বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর মামলাটি আবার সচল হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত।
২০১১ সালে ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার শরীফে অভিযান চালায় র্যাব-৭ এর একটি বিশেষ টিম। এসময় দরবার থেকে দুইকোটি সাত হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠে। ঘটনার প্রায় সাত মাস পর ২০১২ সালের ১৩ মার্চ দরবারের গাড়ি চালক মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ১৫ জুলাই সাতজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সামাদ।
অভিযোগপত্রে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- র্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী, উপ-অধিনায়ক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) শেখ মাহামুদুল হাসান মজুমদার, সুবেদার মোহাম্মদ আবুল বশর, এসআই তরুণ কুমার বসু, সোর্স মো. দিদারুল আলম, মো. আনোয়ার ও মানত বড়ুয়া।
অভিযোগপত্রে ৪২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
ইএস/জেডএস