বুধবার (৬) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
একই মামলায় বৈধতার প্রশ্নে চলতি বছরের ২২ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দুদক।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এ চলছে।
খালেদা জিয়া, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ছাড়াও ওই মামলায় আসামিরা হলেন- মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদ (মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) এম সাইফুর রহমান (মৃত), আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
পরে এ মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন । বুধবার সে রুল খারিজ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৭
ইএস/জেডএম