বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আদালত ১০ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তারা ও সাহেদকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, দুপুরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে জানান, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবির ওসি মো. শাহ আলম।
১০ নভেম্বর বাহুবলের বেদে পল্লীতে সরকারি অনুদানের চেক হস্তান্তর করতে যান সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। ওই অনুষ্ঠানে হামলা করেন তারা মিয়া, সাহেদ ও তাদের অনুসারীরা। এসময় সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী আহত হন। পরে ১৮ নভেম্বর রাতে উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়নের ১ নম্বর (সাধারণ ওয়ার্ড ১, ২ ও ৩) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পারভীন আক্তার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. তারা মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য আলাউর রহমান সাহেদ এবং জসিম মিয়াসহ অজ্ঞাত ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২৬ নভেম্বর জসিম মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
আরবি/