বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে হেলাল উদ্দিনকে দশদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের ইন্সপেক্টর বিপ্লব কিশোর শীল।
শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলামের আদালত।
মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে যৌথ অভিযান চালিয়ে গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকা থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
হেলালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসী সন্ত্রাসী বন্ধু এক ছাত্রদল নেতার নির্দেশে হেলাল উদ্দিনই ব্যবসায়ী সিদ্দিক হত্যার মূল পরিকল্পনা করেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করেছেন এবং অপারেশনাল কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার সঙ্গে আরও পাঁচজনের মধ্যে সরাসরি কিলিং মিশনে চারজন অংশ নেন’।
‘গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল পুলিশকে জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন, তবে সরাসরি অংশ নেননি। এ হত্যাকাণ্ডে ৬টি অস্ত্র ও ২৫/২৬ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করেছেন হত্যাকারীরা। হত্যার পর অস্ত্রগুলো হেলালের কাছে জমা ছিলো। এর মধ্যে ব্যবহৃত ৫টি অস্ত্র জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ’।
হেলালকে গ্রেফতারের পর ডিবি উত্তরের উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম জানিয়েছিলেন, ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যা মামলার তদন্তে খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে হেলালের নাম পাওয়া যায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৪ নভেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে বনানী বি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১১৩ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এমএস মুন্সি ওভারসিজ এজেন্সির মালিক মো. সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন প্রতিষ্ঠানের আরও তিন কর্মকর্তা- মোস্তাক হোসেন, মোখলেছুর রহমান ও মিরাজ পারভেজ।
ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে বনানী থানায় হত্যা মামলাটি করেন। মামলার তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।
নিহত সিদ্দিক তার স্ত্রী, দুই মেয়ে সাবরিনা সুলতানা, সাবিহা সিদ্দিক এবং ছেলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কের একটি বাসায় থাকতেন। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এমআই/এএসআর