বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতের প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত।
২ নভেম্বর তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এ মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ওইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, আসামি মাহবুবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২০-২৫ জন সদস্যকে নিয়ে রণদা প্রসাদ সাহার বাসায় অভিযান চালায়।
তিনি আরও বলেন, আসামি এক সময় জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু নির্দলীয়ভাবে তিন তিনবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রতিবারই পরাজিত হয়েছেন।
মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছিল গত বছরের ১৮ এপ্রিল। তদন্ত সম্পন্ন করতে দেড় বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি টাঙ্গইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসের আশপাশের এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজ এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করে।
তদন্তে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার প্রমাণ উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তকালে ৬০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে এবং মোট ১০০ পাতার ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চারটি ভলিউমে ৩৮০ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করেছেন সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান।
মানবসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিসরূপ স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে সরকার আর পি সাহাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়। মানবহিতৈষী কাজের জন্য ব্রিটিশ সরকার রায় বাহাদুর খেতাব দিয়েছিল রণদা প্রসাদ সাহাকে।
রণদা প্রসাদ সাহার বাবার বাড়ি ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
এক সময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা প্রসাদ সাহা। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে। সে বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যান্যদের ধরে নিয়ে যায় আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
ইএস/এসএইচ