রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মারুফা আক্তার শিউলি।
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজুলল হক খান ফরিদ ও শফিকুজ্জামান।
পারিবারিক সম্পত্তির লোভে ২০০১ সালের ৩১ মে রাতে জামালপুর শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী লুৎফর রহমানের ৭ বছরের শিশুপুত্র মুস্তাসিম বিল্লাহকে চাচাতো ভাই তোফায়েল আহমেদ হীরা বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জামালপুর সদরের নান্দিনা খড়খড়িয়া এলাকায় নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা শিশু মুস্তাসিম বিল্লাহকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে একটি নির্মাণাধীন ভবনের মেঝেতে পুতে রাখে।
এ ঘটনায় পুলিশ তোফায়েল আহমেদ হীরাকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপহরণের ৭৯ দিন পর শিশু মুস্তাসিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় শিশু মুস্তাসিমের খালু আশরাফ হোসেন বাদী হয়ে তোফায়েল আহমেদ হীরাসহ ৬ জনকে আসামি করে জামালপুর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহেদুজ্জামান শিকদার আসামি তোফায়েল আহমেদ হীরা, সোহেল রানা শিপন, আনোয়ার হোসেন, লোকমান আলী, আয়নাল হকের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেন।
এ রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রোববার হাইকোর্ট লোকমান ও আয়নালকে খালাস দিয়ে বাকিদের দণ্ড বহাল রাখেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল।
দণ্ডপ্রাপ্ত তোফায়েল আহমেদ হীরা, সোহেল রানা শিপন, আনোয়ার হোসেন এখনও পলাতক।
এদিকে ২০০৩ সালে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শিশু মুস্তাসিম বিল্লাহ অপহরণ মামলায় তোফায়েল আহমেদ হীরা, সোহেল রানা ও আনোয়ার হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এ মামলার আপিলও হত্যা মামলার আপিলের শুনানি একসঙ্গে হয়।
এ মামলায় হীরার দণ্ড বহাল রেখে বাকি দু’জনকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
ইএস/এএ