বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার রাজিউদ্দিন আহমেদ পারভেজ।
পরে রাজিউদ্দিন আহমেদ পারভেজ বলেন, ২০০৮ সালের পূর্বে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও নাঙ্গলকোট উপজেলা দুটি সংসদীয় আসনের (কুমিল্লা-৯ ও ১১) অন্তর্ভুক্ত ছিলো। কিন্তু ওই বছরের ১০ জুলাই নাঙ্গলকোট উপজেলা এবং সদর দক্ষিণের কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে কুমিল্লা-১০ আসন করে গেজেট প্রকাশ করে।
পরবর্তীতে নাঙ্গলকোর্ট এবং সদর দক্ষিণের পুরো উপজেলাকে এক করে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই কুমিল্লা-১০ আসন করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি। ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মো. আব্দুল গফুর ভূইয়া।
আবেদনে বলা হয়, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার অনুপাত, ভৌগলিক অখণ্ডতা, প্রশাসনিক ইউনিটসূমহকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ২০ মার্চ হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরে ১২ জুলাই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর আদেশ পালনে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়। কিন্তু আদেশ বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ না নেওয়ায় ১৫ নভেম্বর ইসিকে আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশপ্রাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত সপ্তাহে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান ব্যারিস্টার রাজিউদ্দিন আহমেদ পারভেজ ।
তিনি আরও জানান, এ আবেদনের শুনানি নিয়ে বিবাদী ইসি সচিবের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে ইসি সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ