সোমবার (১১ ডিসেম্বর) প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুব্রত ঘোষ শুভ এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামীউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএম সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন ও মেকানিক শাহ আলম।
আসামি নাজমুল হক আগে থেকেই জামিনে আছেন। অপর আসামি সিদ্দিকুর রহমানের পক্ষে কোনো জামিনের আবেদন করা হয়নি। তার জামিনের আবেদন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় আছে।
গত ৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তিনি বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা ও দণ্ডবিধির ১১৮ ও ১২০(খ) ধারা থেকে সকল আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করেন। তবে দণ্ডবিধির ২৮৭ ধারায় তিন আসামি সিদ্দিকুল রহমান, নাজমুল হক ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিলের আবেদন করেন।
২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ‘রাঙা প্রভাতে’ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তখন তা তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে।
সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে রওনা হয় প্লেনটি। ওই প্লেনের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলা হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি-না, তা তদন্তে গত ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরও দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এসব কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ২১ ডিসেম্বর ১১ জনকে আসামি করে মামলা ও আসামিদের বরখাস্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এমআই/এমএ