বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আদেশের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাইকোর্ট ২০১৪ সালে একটি সুয়োমোটো রুল দিয়েছিলেন। সেই মামলায় বুধবার আদেশের জন্য ছিলো। আজ আদালতে বলেছেন- নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোনো ফি যেন আদায় করতে না পারে এবং না করে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে সতর্কতার বিষয়ে জ্ঞাত করতে হবে। যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ব্যত্যয় ঘটায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ৩০ দিনের মধ্যে বর্ধিত আদায়কৃত ফি ফেরত না দিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটি স্থগিত থাকবে। অতিরিক্ত ফি’র জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে না।
মিজানুর রহমান আরো বলেন, স্থগিত কমিটির কেউ পরবর্তীতে তিন বছর আর সদস্য হতে পারবে না। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন।
২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর একটি দৈনিকে ‘আটগুণ বাড়তি ফি আদায়’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বাড়তি ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পরবর্তীতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল বাড়তি ফি ফেরত দিয়েছিলেন। যারা দেননি তাদেরকে তলবও করেছিলেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭/আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা
ইএস/আরআই/জেডএস