বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ।
পরে ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, আজকে শুনানি শেষ হয়েছে। কাল (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
এর আগে ২২ নভেম্বর আপন জুয়েলার্সের মালিকদের কেন জামিন দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নামে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। বর্তমানে কারাগারে থাকা সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’ এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা।
মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯ টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।
দুই মামলায় গত ২২ আগস্ট তিনভাই হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এরপর বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরদিন আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পাঁচ মামলায় জামিন আবেদন করেন আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
ইএস/আরআই