দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আদালতে আপন মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদদিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
এর আগে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের আবেদন গত বছরের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে তা আরেক দফায় ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। মঙ্গলবার তা আরেক দফায় ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দার করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিন মামলায় দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে বাকি দুই মামলা স্ট্যান্ডওভার রাখা হয়েছে।
গত ২২ নভেম্বর আপন জুয়েলার্সের মালিকদের কেন জামিন দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।
বর্তমানে কারাগারে থাকা সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’ এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।
দুই মামলায় গত ২২ আগস্ট তিনভাই হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এরপর বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরদিন আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পাঁচ মামলায় জামিন আবেদন করেন আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৭/আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস