এরা হলেন- রুপার মরদেহ উদ্ধার ও সুরতহাল প্রতিবেদনের সাক্ষী মধুপুরের অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রবীর এন কুমার, পঁচিশ মাইল এলাকার রশীদ মিয়া ও রহিজ উদ্দিন এবং রুপাকে বহনকারী বাস জব্দ করার সাক্ষী মধুপুরের শ্রমিক আবুল হোসেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) একেএম নাসিমুল আক্তার জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে সোয়া ঘণ্টাব্যাপী চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
৮ জানুয়ারি (সোমবার) আদালত সাক্ষী লাল মিয়া, হাসমত আলী, এমএ রৌফ ও ইমাম হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ছোঁয়া পরিবহনের বাসে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন রূপা। এসময় রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে হত্যা করেন বাস শ্রমিকরা। পরে মরদেহ মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসটির হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
আরবি/