এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম. ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রুল জারি করে এ আদেশ দেন।
রুলে নগদ অর্থের বাইরে বই কেনার ক্ষেত্রে যে চুক্তির মাধ্যমে মোবাইল পেমেন্ট সার্ভিস বিকাশকে একতরফা অধিকার দেওয়া হয়েছে, সে চুক্তিটি কেন জানস্বার্থবিরোধী এবং আইন বিরুদ্ধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি), সচিব এবং বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজ্জাদ হুসাইন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।
পরে অনিক আর হক বলেন, সাজ্জাদ হুসাইন গত সপ্তাহে গ্রন্থমেলার একটি স্টল থেকে তার পছন্দের বই কেনেন। কিন্তু মূল্য পরিশোধে নগদ টাকার ঘাটতি দেখা দিলে তিনি ক্রেডিট কার্ডে অর্থ পরিশোধের কথা বলেন।
কিন্তু স্টল কর্তৃপক্ষ নগদ অর্থ ছাড়া অন্য উপায়ে মূল্য পরিশোধ করতে হলে কেবল বিকাশের মাধ্যমেই মূল্য পরিশোধ করতে হবে বলে জানায়। এ বিষয়ে সাজ্জাদ হুসাইন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কোনো একটি চুক্তির মাধ্যমে বাংলা একাডেমি একতরফাভাবে বিকাশকে এ সুবিধা দিয়েছে। পরে তিনি রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন।
ব্যারিস্টার অনীক আর হক আরও বলেন, পেমেন্টে বিভিন্ন সার্ভিস থাকার পরও একতরফাভাবে বিকাশকে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা প্রতিযোগিতা আইন-২০১২ এর পরিপন্থি। রিট আবেদনটির শুনানি নিয়ে সোমবার আদালত রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২,২০১৮
ইএস/জেডএস