ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিঙ্গাইর মহাসড়কের গাছ কাটায় স্থিতাবস্থা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
সিঙ্গাইর মহাসড়কের গাছ কাটায় স্থিতাবস্থা

ঢাকা: মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে থাকা প্রায় ৪ হাজার গাছ কাটার ওপর ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গাছ কাটার বেআইনি কার্যক্রম কেন সংবিধান পরিপন্থি এবং আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং পরিকল্পনা সংশোধনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের প্রধান প্রকৌশলী, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মানিকগঞ্জের এক আইনজীবী মনজুরুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি আদেশের বিষয়ে নিশ্চিত করেন।

রিটে ‘কাটা হচ্ছে চার হাজার গাছ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত করতে প্রায় ৪ হাজার গাছ কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সহস্রাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু পরিবেশবাদীরা বলছেন, এসব গাছ রেখেই সড়কটি প্রশস্ত করা সম্ভব। এটা করতে না পারলে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়বে। ”

জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার জরিনা কলেজ মোড় পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার এই আঞ্চলিক মহাসড়ক ১৭ ফুট চওড়া। এটি প্রশস্ত করে ২৪ ফুটে উন্নীত করা হবে। গাছ কাটা ছাড়া মহাসড়কটি সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়।

মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্ত করার জন্য দরপত্রের মাধ্যমে এসব গাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় জেলা পরিষদ। গত বছরের ৬ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী, ৩ হাজার ৭২৫টি গাছ ২৮টি গুচ্ছে বিক্রি করা হয়। সর্বোচ্চ দর ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৯ টাকায় গাছগুলো বিক্রি করা হয়।

জেলা সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সড়ক বিভাগ) আবদুর রহিম বলেন, এক পাশে গাছ রেখে বা মাঝখানে গাছ রেখে সড়কটি সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়। আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে ছোট ছোট ২৪টি সেতু আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।