একই সঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ববর্তী রায় বহাল থাকায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে সরওয়ার কামালকে।
কক্সবাজার পৌরসভা ও উচ্চ আদালত সূত্র জানায়, নাশকতা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর সরওয়ারকে পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সাময়িক বরখাস্তের চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ২৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন সরওয়ার। এর কয়েকদিন পর আরো একটি রিট আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত দুটি রিটই উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়। ১৪ ডিসেম্বর সরওয়ার সেই দুটি রিটের তথ্য গোপন করে উচ্চ আদালতের বিচারপতি মঈনুল হোসেন ও ইকবাল কবিরের দ্বৈত বেঞ্চে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করে করে দেয় উচ্চ আদালত। ওই সময় তথ্য গোপনের দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে উচ্চ আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দাখিল করেন সরওয়ার কামাল। দীর্ঘ এক বছর পর বৃহস্পতিবার সেই মামলায় রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। রায়ে মামলাটি খারিজ করে দিয়ে উচ্চ আদালতের রায় বহাল রাখা হয়।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা চৌধুরী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রইল। একারণে সরওয়ার কামালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে। আর ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনে মাহাবুবুর রহমানের আরো কোনো আইনী বাধা রইল না।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী এম ফিদা কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষে লড়েন অ্যাডভোকেট স ম রেজা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এই রায়ের ফলে আগামী পৌর নির্বাচনে পর্যন্ত মেয়দ পদ নিয়ে আর কোনো দ্বন্দ্ব রইল না।
এদিকে, মোবাইল বন্ধ থাকায় এ রায়ের ব্যাপারে সরওয়ার কামালের প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
টিটি/এনটি