ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চাঁদপুরে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি, দু’জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
চাঁদপুরে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি, দু’জনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর: চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার দেবকরা করা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবুল বাসার (বাসু ডাক্তার) হত্যা মামলায় মো. মনির হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

এছাড়া একই মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মনির হোসেন উপজেলার পদুয়া গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তারের ছেলে।  

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার দেবকরা গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল আজিজ (২৩) এবং একই গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে মো. আমির হোসেন (২৭)।  

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘর নির্মাণের জন্য রড কেনার টাকা নিয়ে দেবকরা গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন আবুল বাসার।  তিনি বাড়ির কাছে এলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আব্দুল আজিজ 
ও আমির তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার কাছে থাকা এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যান। এসময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জানুয়ারি রাতে আবুল বাসার মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে আবুল বাসার হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন।

হামলার পর ১০ জানুয়ারি শাহরাস্তি থানায় ওই তিনজনকে আসামি করে ৩৯৪/৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন আবুল বাসারের ছেলে জহিরুল ইসলাম।  

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল হক ২০১১ সালের ৮ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা চলাকালে আদালত ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এছাড়া আসামিদের মধ্যে মনির ও আব্দুল আজিজ অপরাধ স্বীকার করায় তাদের উপস্থিতিতে সোমবার এ রায় দেন আদালত। অপর আসামি আমির হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. ইকবাল-বিন-বাশার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।