রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত।
এ ছাড়া সকল আসামিকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আশি পয়সা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার ওই অর্থ রায় প্রকাশের দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধের পর তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৮৬ (১)(এ) ধারার বিধান মতে জরিমানার এ টাকা আদায়ের জন্য ‘ওয়ারেন্ট ফর লেভি অব দ্য ফাইন বাই অ্যাটাচমেন্ট অ্যান্ড সেল’ ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশের অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই ধারায় বলা হয়েছে, যখন কোনো আসামিকে জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, তখন দণ্ড দানকারী আদালত অপরাধীর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় ও বিক্রয় করে জরিমানা আদায়ের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে পরোয়ানা প্রদান করিতে পারিবেন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টায় রায়ের অনুলিপি খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার হাতে তুলে দেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন।
মোট ১ হাজার ১৭৪ পাতার অনুলিপি খালেদার আইনজীবীদের হতে হস্তান্তর করা হয়। অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া অনুলিপি বুঝে নেন।
এ সময় অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ মিয়া আলমসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এর কিছুক্ষণ পর পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি গ্রহণ করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
রায়ের অনুলিপি গ্রহণের আগে মাসুদ আহমেদ তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, আশা করছি কিছুক্ষণের মধ্যেই রায়ের কপি পাবো। রায়ের কপি পেলে আগামীকালই (মঙ্গলবার) আপিল ফাইল করা হবে। সে সঙ্গে জামিনেরও আবেদন করা হবে।
মামলার রায়ে, জরিমানার অর্থ রায় প্রকাশের ৬০ দিনের মধ্যে সকল আসামিকে সমানভাগে পরিশোধ করতে ও তা রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে রায়ের দিন থেকেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমআই/এমএ