একই সঙ্গে তাকে ২২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে মনজিল মোরসেদ জানান, একটি বেসরকারি ব্যাংকের চট্টগ্রাম নগরীর আমানবাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মীর মোকারম হোসেনের সঙ্গে স্ত্রী রুবিনা আখতারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এ মামলায় এক তরফা আদেশ হলে তার বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। আপিল শুনানি শেষে পিতাকে ছেলের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মীর মোকারম হোসেন হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন মামলা দায়ের করেন।
পরে রুবিনা আখতারের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষকে শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া গত ৯ জানুয়ারি এক আদেশে ছেলেকে প্রতি মাসের প্রথম ১৫ দিন বাবার কাছে এবং শেষের ১৫ দিন মায়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশনা দেন।
যে আদেশটি ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের নির্দেশনা অনুসারে, ছেলেকে মায়ের কাছে ১৫ দিন পরে ফেরত না দেওয়ায় মীর মোকারম হোসেনের বিরুদ্ধে রুবিনা আখতার আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন- ৪ বছরের একটি বাচ্চা আইন অনুসারে তার মায়ের হেফাজতে থাকার বিধান রয়েছে এবং বাচ্চার দেখাশুনার দায়িত্ব মার চেয়ে ভালো অন্য কেউ করতে পারে না।
এ অধিকারকে খর্ব করে ও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ব্যাংক কর্মকর্তা মীর মোকারম হেসেন আদালতের উপর অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন এবং আদালত অবমাননা করেছেন যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন এবং ছেলেকে নিয়ে আগামি ২২ ফেব্রুয়ারি মীর মোকারম হেসেনকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
ইএস/এমএ