তার এক আবেদনের পর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আদালতে তাবিথের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
পরে এহসানুর রহমান বলেন, উপ-নির্বাচন হোক এটা তাবিথ আউয়ালও চান। তাই হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আপিলে পক্ষভুক্ত হতে তিনি আবেদন করেছিলেন।
‘আজ চেম্বার আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এখন ইসির যে আবেদন রোববার আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে সেটাতে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবীরা লড়বেন। ’
এর আগে সকালে ডিএনসিসি মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও ১৮টি নতুন ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি নতুন ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়াস্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। পরে আপিল বিভাগ নট টু ডে আদেশ।
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামালের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মোহম্মদ আশরাফ-উজ-জামান খান আদালতে বলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামালের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণেতিনি আদালতে আসতে পারেননি। এজন্য এ আবেদনের শুনানি পেছানো দরকার। এরপর আদালত ‘নট টু ডে’ (আজকে নয়) আদেশ দেন।
পরে মোহম্মদ আশরাফ-উজ-জামান খান সাংবাদিকদের জানান, আজ আদালত ‘নট টু ডে’ আদেশ দেওয়ায় এ আবেদনগুলোর শুনানি একদিনের জন্য পেছালো।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুই সপ্তাহ শুনানি মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে ইসি। পরে ৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
গত ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ ছিল।
এ তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ জানুয়ারি ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ওই তফসিলের ওপর সব কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কীভাবে প্রার্থী হবেন এবং ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর নেবেন। এছাড়া যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ কী আড়াই বছর, না কী পাঁচ বছর হবে- এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিবকে এর জবাব দিতেও বলেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
ইএস/এমএ